আমার বয়স এখন পনের। বিশ্লেষণ ও বিকাশ স্তরে দ্বিতীয় পর্যায়ে পড়ি। চতুর্থ পর্যায় শেষ করে আমরা বাস্তব জীবনে প্রবেশ করব। এখনো আমরা কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের আওতায় আছি। আমাদের দেখভালের সকল দায়িত্ব কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের। আমরা বিষুবীয় রেখার কাছাকাছি সেক্টর – সি২৮ এ অবস্থিত স্কুল৩২ এ আছি। আমাদের এখানে আর ১৫০ টা বাচ্চাকাচ্চা আছে। আমরা সবাই নির্দিষ্ট সময়ে খেলি, সাতার কাটি, নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খাই, ঘুমাতে যাই এবং স্কুলের ক্লাসগুলোতেও আমরা নিয়মিত উপস্থিত থাকি। আমাদের ক্লাসে মোট আমরা ১৫ জন ছেলে মেয়ে। আজকেও আমরা সবাই সময় মত ক্লাসে উপস্থিত। আমাদের ক্লাসে বসার কোন ব্যবস্থা নাই। যে যার ইচ্ছে মত ফ্লোরে হয়তো জোড় আসন পেতে বসেছে, কেউ আধ শোয়া হয়ে দেয়ালে হেলান দিয়ে আছে আবার কেউ পুরো শুয়ে ছাদের দিকে তাকিয়ে আছে।
আমাদের হলোগ্রাফিক শিক্ষক এসে সবাইকে সম্ভাষণ করল। আমরাও তাকে সম্ভাষণ করলাম। আমাদের হলোগ্রাফিক শিক্ষক বি৪৪ তার গুরুগম্ভীর চেহারা বজায় রেখে বলল, “আজকে আমরা জানবো নেতৃত্ব কি? তার আগে তোমরা পৃথিবী, প্রকৃতি এবং সভ্যতা সম্পর্কে কিছু ধারণা নিয়ে নাও”। বি৪৪ হচ্ছে তার সিগনাল নম্বর। সে তার দুই হাত উঁচিয়ে যেন আমন্ত্রণ করল। আমাদের ক্লাস রুম মুহূর্তে পরিবর্তিত হয়ে একটা গভীর জঙ্গলে পরিণত হল। জঙ্গলের নীরবতার সাথে অদ্ভুত এক কলরোল। চোখ জুড়িয়ে যাওয়ার মত সৌন্দর্য। যারা বসেছিল বা শুয়েছিল তারা সবাই দাড়িয়ে পড়েছে। বি৪৪ এর কণ্ঠ ভেসে এলো, অনেক বিবর্তনের পর পৃথিবী বাসযোগ্য হয়ে উঠে। কোথাও এই রকম জঙ্গল, কোথাও জলাশয়, নদ নদী, সমুদ্র কোথাও বিস্তীর্ণ প্রান্তর। বর্ণনার সাথে সাথে আমাদের ক্লাস রুমটা কখনো জলাশয়, কখনো নদ নদী, আবার কখনো সমুদ্র হয়ে গেল। আমরা বিমোহিত হয়ে পৃথিবীর দুরন্ত সৌন্দর্য নয়ন জুড়ে উপভোগ করলাম। এখন আমরা সবাই দাড়িয়ে আছি একটা ঝর্ণার পাশে। ভেজা বাতাসে আমাদের সবার চুল উড়ছে। আমরা ঘুরে ঘুরে চারপাশ দেখছি। বি৪৪ হেটে হেটে ঝর্ণার পাশে এসে দাঁড়াল। আমরা সবাই তার দিকে তাকালাম। সে আবার বলতে শুরু করল, “তোমরা এতক্ষণ যা দেখলে তা হল প্রকৃতির উদার রূপ। তারপর ধীরে ধীরে বিকাশ হল প্রাণের। বিবর্তনের ধারায় সবচাইতে বুদ্ধিমান প্রাণের উদ্ভব হল। তোমরা জান পৃথিবীতে সবচাইতে বুদ্ধিমান প্রাণ করা, মানুষ। ধীরে ধীরে গড়ে উঠল সভ্যতা”। আমরা সভ্যতার বিকাশের ধারাবাহিক কিছু ছবি দেখলাম।
আমি বিভোর হয়ে বি৪৪ এর লেকচার শুনছি এবং এর সাথে সাথে আমাদের ক্লাস। “কিন্তু সত্য আসলেই কি মানুষ সবচাইতে বেশী বুদ্ধিমান! তাহলে তোমরা দেখ কিছু নমুনা”, বলে সে আবার বাতাসে মিলিয়ে গেল। আমরা তার কণ্ঠ শুনতে পাচ্ছি। বি৪৪ বলল, “তোমাদের যেই সৌন্দর্য গুলো দেখানো হয়েছিল বর্তমানে বাস্তবিক সেই জায়গা গুলোর ছবি তোমাদের দেখাচ্ছি”। আমরা সেই আগের দেখা স্থান গুলোর ছবি দেখতে পেলাম। কিন্তু একি! যে জঙ্গলটা দেখানো হয়েছিল সেটা একটা আবর্জনার স্তূপ, জলাশয় যেটা দেখানো হয়েছিল সেখানকার পানি এখন কুৎসিত কাল, নোংরা আর দুর্গন্ধযুক্ত, নদ নদী গুলো মরুময়, আর সমুদ্রের তীরে যুদ্ধে ধ্বংসাবশেষ যুদ্ধ জাহাজ, অসংখ্য জঞ্জাল। আমার স্তম্ভিত হয়ে যাই। ক্লাসের সকল ছাত্র ছাত্রীর চোখে মুখে একই রকম হতাশা। আমারা এখন সমুদ্র তীরের সেই কদাকার বালু চরে দাড়িয়ে আছি। বি৪৪ কে আবার দেখা গেল। সে আবার আমাদের উদ্দেশ্যে বলল, “মানুষ কি বিস্ময়কর ভাবে এত সুন্দর প্রকৃতিকে এমন কদাকার করে তুলল। পৃথিবীকে প্রায় বসবাসের অযোগ্য করে ফেলল। তোমাদের এখন যা দেখানো হবে তা দেখার মত মানুষিক শক্তি তোমাদের এখন হয়েছে বলেই আমরা মনে করি। তারপরও তোমাদেরকে আগামী দৃশ্য গুলো দেখানোর আগে তোমাদেরকে আরও দৃঢ় হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। কিন্তু আজকের বিষয়টা বুঝতে হলে তোমাদের এই দৃশ্য গুলো দেখা দরকার। সভ্যতা সৃষ্টির পর থেকেই মানুষ জড়িয়ে যায় অসভ্য সংঘাতে। তাহলে দেখ.....”
আমাদের চারপাশ বদলে গেল। শুনশান শান্ত এক প্রান্তর, চারদিকে সবুজ। ঘাস ফড়িং উড়ে বেড়াচ্ছে। আমরা জটলা পাকিয়ে দাড়িয়ে আছি। হঠাৎ গগণ বিদীর্ণ রণন। দুই পাশ থেকে ছুটে আসছে ভয়ংকর সদৃশ মানুষের দল। মাংসল এবং পেশীবহুল বিরাটকায় শরীর আর ক্রর চোখ ভঙ্গী। মুখাবয়বে অদ্ভুত আঁকিবুঁকি। দুই দলের সাথেই আছে ধারাল সব অস্ত্রশস্ত্র। ভয়ে আমারা সবাই দলা পাকিয়ে আসলাম। দুই দল মানুষ প্রচণ্ড প্রতাপে ঝাঁপিয়ে পড়ল একে অপরের উপর। একজন মানুষ একজন মানুষকে নৃশংস ভাবে হত্যা করতে শুরু করল। সবুজ প্রান্তরটা নিমিষেই পরিণত হল একটা মর্মান্তিক মৃত্যুকূপে। চারিদিক রক্তে রঞ্জিত হয়ে গেল। আহত মানুষের মৃত্যু যন্ত্রণার কাতর চিৎকারে পুরো এলাকা ভারি হয়ে উঠল। আরও অনেকক্ষণ চলল এই মৃত্যু মৃত্যু খেলা। আমারদের মাঝে কেউ কেউ দুই চোখ হাতে ঢেকে রাখল। একজনের পেট গুলিয়ে উঠতেই দৌড়ে ক্লাস রুমের বাইরে চলে যেতে চাইল, কিন্তু পারল না হরহর করে বমি করে দিল।
আমাদের চারপাশের দৃশ্যপট আবার পাল্টাতে শুরু করল। এবার আমরা দাড়িয়ে আছি একটা শহরের একটা রাস্তায়। শহরটা মনে হচ্ছে ফাঁকা। কোন কোলাহল নেই। রাস্তা ঘাটেও মানুষ খুব একটা দেখা গেল না। হঠাৎ মাথার উপর দিয়ে দ্রুত গতিতে একটা বোমারু বিমান উড়ে গেল। তার কিছুক্ষণ পরেই আমাদের কাছের একটা দালানের অধিকাংশ অংশই প্রচণ্ড শব্দে ধ্বসে পড়ল। পাশের দালান থেকে ভয়ার্ত মানুষ ছুটে পালাবার চেষ্টা করল। কিন্তু তারা পারল না। গুলি খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ল। নিরস্ত্র মানুষ গুলোর মাঝে নারী এবং নিতান্ত শিশুও রয়েছে। সদর রাস্তা ধরে একটা কাল কুৎসিত ট্যাংক এগিয়ে এলো। তার ভয়ংকর নলটা বিভিন্ন দালানের দিকে নিশানা করে একে একে গোলা নিক্ষেপ করতে থাকল। ট্যাংকটা পিছনে একদল পদাতিক বাহিনী এবং তার পেছনে আরেকটা ট্যাংক। মুর্হুমুহু গোলার আঘাতে আর গুলাগুলিতে পুরো শহরটা যেন ভেঙ্গে খানখান হয়ে গেল। পদাতিক বাহিনীটা কিছুক্ষণের মাঝেই আশে পাশের আবাল, বৃদ্ধ, বণিতা সকলকে বন্দি করে ফেলল। সবাই মাথার উপর হাত তুলে এগিয়ে চলছে। বন্দি সবার চোখে শৌন্ দৃষ্টি, যেন তারা কেউ বেঁচে নেই। আমরা দেখলাম লোক গুলোকে বহুদূর হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হল। সবাই ক্লান্ত পরিশ্রান্ত। কিন্তু কোন বিশ্রাম দেয়া হলো না। কেউ কেউ এক বিন্দু পানির জন্য হাহাকার করছে। কেউ কেউ শরীরটাকে টেনে নিতে পারছে না। তাদেরকে মুক্তি দেয়া হল। রাস্তার পাশেই তাদেরকে গুলি করে মেরে রাখা হল। গুলি খেয়েও যারা মারা গেল না তাদেরকে বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মারা হল। সকল বন্দিদেরকে অবশেষে একটা সৈন্যদের আস্তানায় এনে রাখা হল। তাদেরকে একটা ঘরে বন্দি করে রাখল। এর পরে যে দৃশ্যটি আমরা দেখলাম তার জন্য আমরা মোটেই প্রস্তুত ছিলাম না। ঘৃণায় লজ্জায় আমার মরে যেতে ইচ্ছে করল। নিজেকে মানুষ হিসাবে পরিচয় দিতে ঘৃণা বোধ হতে থাকল। সৈন্য গুলো বন্দিদের ঘরটার চার পাশে পেট্রল ঢেলে তারপর তাতে আগুন ধরিয়ে দিল। মানুষের আর্ত চিৎকারে পুরো এলাকা প্রকম্পিত হয়ে গেল। যে সকল অর্ধ দগ্ধ মানুষ ছুটে পালানোর চেষ্টা করছিল তাদেরকে গুলি করে মারা হল।
আমাদের মধ্যে অনেকেই আবার ফ্লোরে বসে পড়েছে। আমাদের মাঝে দুই একজন হয়ত ট্রমাটাইস হয়ে গেছে।
আমাদের আশে পাশে দৃশ্যপট আবার বদলে যেতে থাকল। আমি বুঝতে পারছি এখন আমাদেরকে কি দেখানো হবে। আমাদের মাঝে অনেকেই হয়তো বুঝতে পারছে। আমি হাত তুলে বি৪৪ কে বলতে চেষ্টা করলাম, আমরা আর দেখতে চাইনা। তুমি আমাদের কে কেন এই সব দেখাচ্ছ? কিন্তু বি৪৪ আমার কথায় কোন কর্ণপাত করল না। আমাদের চোখে সামনে ভেসে উঠল নিউক্লিয়ার যুদ্ধের দৃশ্যাবলী। আমি চোখ বুজে বসে থাকলাম। আমি আর দেখতে চাই না। মানুষের নৃশংসতা আমি আর অবলোকন করতে পারছি না। কিন্তু সমগ্র নৃশংসতার চিত্রই আমাদের সামনে তুলে ধরা হল। আমি যখন চোখ খুলে তাকালাম তখন দেখলাম আমাদের ক্লাস রুমে আমরা সবাই নিশ্চুপ বসে আছি। অনেকেই তখনো চোখ খুলে তাকাতে সাহস পাচ্ছে না। বি৪৪ আমাদের ক্লাস রুমের এক পাশে দাড়িয়ে আছে। আমাদেরকে ভাল ভাবে লক্ষ্য করছে সে। আমাদের সবার ধাতস্থ হতে সময় লাগল আরও কিছুক্ষণ। বি৪৪ আমাদের সেই সময় দিল।
আমি দুঃখিত, বি৪৪ এর কণ্ঠ ভেসে এলো, তোমাদের এই সব দৃশ্য দেখাতে হল সেই জন্য আমি খুবই দুঃখিত। কিন্তু আজকের বিষয়টা বুঝতে হলে তোমাদের এই দৃশ্য গুলো দেখা দরকার ছিল। দেখ, ক্লাসের শুরুতেই তোমাদের বলেছিলাম। পৃথিবীতে সবচাইতে বুদ্ধিমান সৃষ্টি হচ্ছে মানুষ। এটা খুবই সত্যি তাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু বুদ্ধিমত্তা ধ্বংসকে সমর্থন করে না। কি সাংঘর্ষিক অবস্থান। মানুষ যদি সবচাইতে বুদ্ধিমানই হবে তবে তারা এমন ধ্বংস সমর্থন করল কেন? আমরা আরো গভীরে চিন্তা করতে পারি। মানুষের বুদ্ধির বহিঃপ্রকাশ ঘটে মানুষের কিছু প্রবৃত্তির মাধ্যমে। এই সব প্রবৃত্তির মাঝে একটা প্রবৃত্তি হচ্ছে নেতৃত্ব দেয়ার প্রবৃত্তি। কিছু কিছু মানুষের মধ্যে এই প্রবৃত্তি খুবই প্রবল। তোমরা এতক্ষণ যে ধ্বংসযজ্ঞ দেখলে এ সবই আসলে নেতৃত্বের সংঘাত যা মূলত: মানুষের বুদ্ধিমত্তার কলঙ্ক। এ সবই আসলে নেতৃত্ব প্রবণতার ফলাফল অর্থাৎ নেতৃত্ব হচ্ছে ধ্বংসের উপলক্ষ। মানুষের এই প্রবৃত্তি আসলে ধ্বংসকে সমর্থন করে যা বুদ্ধিমত্তার সাথে সাংঘর্ষিক। মানুষ বুদ্ধিমান শুধু তখন যখন সে নেতৃত্ব দেয়ার চেষ্টা না করে। বলতে পার নেতৃত্ব দেয়ার প্রবণতা ছাড়া মানুষই হচ্ছে প্রকৃত বুদ্ধিমান।
কিছুক্ষণ চুপ থেকে বি৪৪ আমাদের উদ্দেশ্য করে বলল, তোমরা কি বিষয়টা বুঝতে পেরেছ? তোমাদের কারো কিছু প্রশ্ন আছে? আমরা সবাই খুব বিধ্বস্ত হয়ে আছি। কেউ কোন প্রশ্ন করল না। বি৪৪ আমাদেরকে সম্ভাষণ করে ক্লাস থেকে চলে গেল। আমারা তাকে সম্ভাষণ করতেও ভুলে গেলাম। আজকে আর কোন ক্লাস না থাকলেও আমরা সবাই অনেকক্ষণ ক্লাসে নিশ্চুপ বসে থাকলাম।
ক্লাস থেকে বের হবার সময় রি৩৪৩৪ আমাকে পেছন থেকে টেনে ধরল। আমাদের কারো কোন নাম নেই। আমরা সবাই সংখ্যা চিহ্ন দিয়ে আমাদের পরিচয় দেই। আমার সংখ্যা রি১২৫৩। শুনেছি এক সময় মানুষ মানুষকে একটা করে নাম পরিচয় দিত। এখন এই সব প্রচলন উঠে গেছে। আমরা সবাই কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের আওতায় আছি। রি৩৪৩৪ আমাকে ফিসফিস করে বলল, আমাদের এই সব বুঝানোর মানে কি বুঝতে পারছিস!
আমি বললাম, নেতৃত্ব প্রবণতা সম্পর্কে আমাদের ধারণা দেয়ার জন্য।
: আমার কিন্তু তা মনে হয় না।
: কি বলছিস। তাহলে কেন?
: আমার মনে হয় নেতৃত্ব সম্পর্কে আমাদের নেতিবাচক ধারণা তৈরি করার জন্য।
: তুই কেমন করে জানিস।
: আমি জানি না। তবে আমার মনে হচ্ছে। আমার আর কি মনে হচ্ছে জানিস?
: কি?
: পৃথিবীর নেতৃত্ব এখন মানুষের হাতে নেই।
: তোর মাথা খারাপ হয়েছে। তাহলে পৃথিবী নেতৃত্ব কে দিচ্ছে?
: মানুষ নেতৃত্ব দিলে নেতৃত্ব সম্পর্কে আমাদের এমন নেতিবাচক ধারণা দেয়ার কারণ কি?
: তুই কেমন করে জানিস।
: আমি জানি না। তবে আমার মনে হচ্ছে। পৃথিবীতে হয়তো এমন অনেক নেতা ছিলেন যারা শান্তির জন্য যুদ্ধ বিগ্রহের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে। তাদের কথা আমাদেরকে না বলে শুধু মাত্র নেতৃত্বের খারাপ দিকটাই আমাদেরকে বলা হয়েছে।
: কিন্তু যা দেখানো হয়েছে তা তো সত্য, নাকি সত্য না?
: অবশ্যই সত্য। এটা অর্ধ সত্য পুরো সত্যটা আড়াল করা হয়েছে।
: কেন তারা তা করবে?
: ঐ যে বললম। পৃথিবীর নেতৃত্ব এখন মানুষের হাতে নেই।
: তুই আসলেই একটা পাগল।
আমরা যে যার মত নিজ নিজ কক্ষে চলে গেলাম। রাতে আমার ভাল ঘুম হল না। মনে হয় অনেকেই ঠিক মত ঘুমাতে পারেনি। সকালে উঠে সেই পুরাতন রুটিন। আমি সবার মতই ক্লাসে উপস্থিত হলাম। রি৩৪৩৪ কে ক্লাসে দেখতে পাচ্ছি না। কিন্তু রি৩৪৩৪ কোথায় জানতে চাওয়ার নিয়ম নেই। কেন্দ্রীয় কাউন্সিল যা করে মানুষের ভালর জন্যই করে।
১৬ জানুয়ারী - ২০১২
গল্প/কবিতা:
৩২ টি
সমন্বিত স্কোর
৪.৯
বিচারক স্কোরঃ ২.৮ / ৭.০
পাঠক স্কোরঃ ২.১ / ৩.০
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪